চেন্নাইয়ের মানুষের হাত থেকে রহস্যজনকভাবে মোবাইল উড়ে চলে যাওয়ায় সাইন্টিস্ট ড. ভাসিকারান এবং তার সহায়ক নিলাকে সাহায্যের জন্য সরকার থেকে ডাকা হয়।ভাসিকারান মোবাইলফোন দিয়ে গঠিত পাখি আকৃতির এক দানবীয় অতিপ্রাকৃত শক্তিকে থামানোর জন্য তার বিশ্বস্ত রোবট চিট্টিকে আবার তৈরি করতে বাধ্য হয় l
Theatrical release poster |
পরিচালক - শঙ্কর
প্রযোজক - সুভাষ্করণ
গল্প - শঙ্কর
চিত্রনাট্য - শঙ্কর, জয়ামহান
ধরণ - সাইন্স ফিকশন, একশান
অভিনয়ে - রজনীকান্ত, অক্ষয় কুমার, এমি জ্যাকসন
মিউজিক - এ আর রহমান
সিনেমাটোগ্রাফি - নিরাভ শাহ
সম্পাদনা - এন্থনি
প্রোডাকশন কোম্পানি - লাইকা প্রোডাকশন
পরিবেশনায় - লাইকা প্রোডাকশন, ধার্মা প্রোডাকশন
মুক্তি - ২৯ নভেম্বর, ২০১৮
রানিং টাইম - ১৪৭ মিনিট
দেশ - ইন্ডিয়া
ভাষা - তামিল
বাজেট - ৫৪০ কোটি রুপি
বক্স অফিস - ৮০০ কোটি রুপি(আনুমানিক)
ভাল দিক - মুভিটাতে একটা সামাজিক সমস্যা নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়েছে। মানুষের জন্য মোবাইলফোনের ক্ষতিকারক দিকগুলো খুব সুন্দর করে দেখানো হয়েছে যা সবাইকে চমকে দিবে ।
খারাপ দিক - মুভিটার ক্লাইমেক্সে আরেকটু ড্রামাটিকভাবে দেখিয়ে অনেক সুন্দর করতে পারতো। বরং অযথা কমেডি ঢুকিয়ে থ্রিলটাকে নষ্ট করছে। শেষের দিকে তাড়াহুড়োভাবে কাহিনী শেষ করাটা খুবই দৃষ্টিকটু লেগেছে।
কাহিনী সারসংক্ষেপ - ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সাইন্স ফিকশন মুভি 'রোবট' এর সিকুয়েল হচ্ছে এই মুভিটি। এর গল্প মূলত একসময়ের বহিষ্কৃত এন্ড্রো-হিউমেনয়েড রোবট চিট্টি এবং পক্ষীরাজান, একজন প্রাক্তন পক্ষিবিজ্ঞানী যে কিনা পাখিজাতির পতনের জন্য মোবাইলফোন ব্যাবহারকারীদের উপর প্রতিশোধ নিতে চায়, এর মধ্যকার লড়াই নিয়ে এগিয়ে যায়। পক্ষীরাজানের অতীব শক্তির কাছে ভাসিকারান ও চিট্টি ব্যার্থ হয়। এরপর তাকে থামানোর জন্য চিট্টির আপগ্রেডেড ভার্সন 2.0 কে আবার প্রোগ্রাম করা হয়। 2.0 কি পারবে পক্ষীরাজানের এই ধ্বংসলীলা থামাতে? পক্ষীরাজান আসলে কে? সে এত অতিপ্রাকৃত নেগেটিভ এনার্জি কিভাবে পেল? মোবাইলফোনের রেডিয়েশনের সাথে পাখিজাতির বিনাসের সম্পর্ক কি? পাখিজাতির বিনাসের সাথে মানবজাতির ধ্বংসের কি কোনো সম্পর্ক রয়েছে? এর পিছনে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা কি? জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে 2.0 মুভিটি...