পদার্থ
পদার্থ হল এমন ভৌত অবস্থা যার ভর ও আয়তন আছে।পদার্থ তিন অবস্থায় বিরাজ করে।পদার্থের অণুসমূহের মাঝে যে আকর্ষণ শক্তি বিদ্যমান তাকে আন্তঃআণবিক শক্তি বলে। কঠিন অবস্থায় অনূসমূহ কাছাকাছি থেকে কাঁপতে থাকে এবং এদের আন্তঃআণবিক আকর্ষণ সবচেয়ে বেশি থাকে,তরল অবস্থায় কম থাকে এবং গ্যাসীয় অবস্থায় এদের কম্পন সবচেয়ে বেশি হয় ফলে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ একেবারেই কম থাকে।
ব্যাপন
কোনো মাধ্যমে কঠিন,তরল ও বায়বীয় বস্তুর স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে পরিব্যাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে।বস্তুর ভর ও ঘনত্বের উপর ব্যাপন ও নিসঃরণ নির্ভরশীল।ভর যত বেশি হবে ব্যাপনের হার তত হ্রাস পাবে।
কণার গতিতত্ত্ব
এক কাপ পানিকে তাপ দিলে তা ধীরে ধীরে জলীয়বাষ্পে পরিণত হবে।তাপ দিতে থাকলে এক সময় সমস্ত পানি জলীয়বাষ্পে পরিণত হবে।এভাবে তাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা তরলকে গাসে পরিণত করতে পারি।
মোম
মোম হল একটি হাইড্রোকার্বন অর্থাৎ জৈব যৌগ,মোমের দহনের ফলে ও জলীয়বাষ্প উৎপন্ন হয়।
মোম++তাপ+আলো
ঊর্ধ্বপাতন
কিছু পদার্থ আছে যাদের তাপ দিলে তারা কঠিন থেকে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় এবং শীতলীকরণে গ্যাসীয় অবস্থা থেকে কঠিনে পরিণত হয়।একে ঊর্ধ্বপাতন বলে।যেমন -ন্যাপথালিন,কর্পূর,কঠিন ।
গলন ও স্ফুটন
পদার্থের গলন ও স্ফুটন নির্দিষ্ট চাপে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হয়ে থাকে।স্বাভাবিক চাপে (1 atm) যে তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থ গলতে আরম্ভ করে তাকে তার গলনাংক বলে।স্বাভাবিক চাপে (1 atm) যে তাপমাত্রায় তরল পদার্থ ফুটতে শুরু করে তাকে তার স্ফুটনাংক বলে।
কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তা তরলে পরিণত হয়,তরলকে তাপ দিলে তা গাসে পরিণত হয়।আবার গ্যাস থেকে তাপ অপসারণ করলে তা তরল এবং তরল থেকে তাপ অপসারণ করলে তা কঠিনে পরিণত হয়।
গ্যাসের ব্যবহার
প্রাকৃতিক গ্যাস বা মিথেনকে অধিক চাপ প্রয়োগ করে সি.এন.জি তে পরিণত করে যানবাহনের জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।ঘরবাড়িতে জ্বালানী হিসেবে অধিক চাপে মিথেন এবং বিউটেন ও প্রোপেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য অক্সিজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
নিঃসরণ
সরুছিদ্র পথে গ্যাসের অণুসমূহের উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের অঞ্চলে বেরিয়ে আসাকে নিসঃরণ বলে।
ব্যাপন
অ্যামোনিয়া গ্যাস বায়ুর সাথে মিশানোর পর গ্যাসজারে লাল লিটমাস পেপার প্রবেশ করালেই দেখা যাবে তা নীল রং ধারণ করেছে।
গ্যাসের চাপ
বেলুনের ভিতরের গ্যাসের কণাসমূহ বেলুনের ভিতরের আবরণের সাথে ধাক্কা খেতে থাকে এবং বাইরের দিকে ঠেলে দেয়।একে গ্যাসের চাপ বলে।তাপ বাড়ালে চাপ আরও বেড়ে যায়।
সুপ্ততাপ
যে পরিমাণ তাপ পদার্থের তাপমাত্রার পরিবর্তন করেনা শুধুমাত্র তার অবস্থা পরিবর্তন করতে ব্যবহৃত হয় তাকে সুপ্ততাপ বলে।সুপ্ততাপের ফলে পদার্থ এক অবস্থা থেকে আরেক অবস্থায় যায়।যেমন কঠিন থেকে তরলে পরিণত হওয়ার সময় এর তাপমাত্রা স্থির থাকে যতক্ষণ না কঠিন পদার্থটি সম্পূর্ণ তরলে পরিণত হয়।তরলে পরিণত হওয়ার পর এর তাপমাত্রা আবার পরিবর্তিত হয়।
তরল স্ফটিক
কিছু কিছু পদার্থ তাপ প্রয়োগে সরাসরি পরিষ্কার তরলে রূপান্তরিত না হয়ে একটি অস্বচ্ছ তরলে পরিণত হয়।একে তরল স্ফটিক বলে।
অ্যাভোগেড্রোর সংখ্যা
বিজ্ঞানী অ্যাভোগেড্রো সর্বপ্রথম ধারণা করেন যে কোন পদার্থের এক মোলে টি অণু বা পরমাণু থাকে।একে অ্যাভোগেড্রোর সংখ্যা বলে।
বাষ্পীভবন
তরলের উপরিভাগ পরিবেশ থেকে তাপমাত্রা গ্রহণ করে ধীরে ধীরে বাষ্পে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বাষ্পীভবন বলা হয়।
আণবিক ভর
কোন যৌগের পরমাণুসমূহের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরের সমষ্টিকে ঐ যৌগের আণবিক ভর বলে।
রাসায়নিক ও ভৌত পরির্বতন
যে স্থায়ী পরিবর্তনের ফলে এক বা একাধিক পদার্থের অণুসমূহের উপাদান নিজ ধর্ম হারিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্মবিশিষ্ট অন্য পদার্থে পরিণত হয় তাকে রাসায়নিক পরির্বতন বলে।যে পরিবর্তনের ফলে পদার্থের শুধুমাত্র ভৌত অবস্থার পরিবর্তন হয় তা কোন নতুন পদার্থে পরিণত হয় না তাকে ভৌত পরির্বতন বলে।
সমযোজী অণুর আকার
সমযোজী যৌগের অণুসমূহের আকৃতি ভিন্ন হয়।যদি কোন অণুর কেন্দ্রীয় পরমাণুর যোজ্যতা স্তরে দু জোড়া ইলেকট্রন থাকে তবে অণুটি সরলরৈখিক,তিন জোড়া থাকলে ত্রিভুজ আকৃতির,চার জোড়া থাকলে চতুস্তলকীয়,পাঁচ জোড়া থাকলে ত্রিকোণীয় দ্বি-পিরামিড এবং ছয় জোড়া থাকলে অষ্টতলকীয় আকৃতি হয়।
পদার্থের প্রকারভেদ
পদার্থ দুই প্রকার।মৌলিক পদার্থ ও যৌগিক পদার্থ।যেসব পদার্থ শুধুমাত্র একটি উপাদান দ্বারা তৈরি তাকে মৌলিক পদার্থ বলে এবং যেসব পদার্থ একাধিক উপাদান দ্বারা তৈরি তাকে যৌগিক পদার্থ বলে।
গ্যাসের সূত্র
গ্যাসের আয়তন,তাপ ও চাপের মাঝে সম্পর্ক হল,আয়তন স্থির থাকলে গ্যাসের তাপমাত্রা ও চাপ সমানুপাতিক।তাপমাত্রা স্থির থাকলে গ্যাসের আয়তন চাপের ব্যস্তানুপাতিক।
এসিড ও ক্ষার
এসিড নীল লিটমাসকে লাল করে এবং ক্ষার লাল লিটমাসকে নীল করে।