মঙ্গল গ্রহ অভিযানের স্মৃতিতে যখন একজন ভার্চুয়াল ছুটিতে যায়, তখন কিছু অপ্রত্যাশিত ও চরম দুর্দশাপূর্ণ ঘটনা তাকে ঐ গ্রহে যেতে বাধ্য করে বাস্তবে অথবা অবাস্তবে
খুঁটিনাটি-
পরিচালক - পল ভারহোভেনপ্রযোজক - বাজ ফিটশ্যান্স, রোনাল্ড শাসেট
গল্প - ফিলিপ কে ডিক
চিত্রনাট্য - রোনাল্ড শাসেট, ড্যান ও'বেনন
ধরণ - সাইন্স ফিকশন, একশান
অভিনয়ে - আর্নোল্ড শেওয়ার্জনেগার, র্যাচেল টিকোটিন, শ্যারন স্টোন
মিউজিক - জেরি গোল্ডস্মিথ
সিনেমাটোগ্রাফি - জস্ট ভ্যাকানো
সম্পাদনা - ফ্রাঙ্ক জে উরিওস্ট
প্রোডাকশন কোম্পানি - ক্যারোল্কো পিকচার্স
পরিবেশনায় - ট্রাইস্টার পিকচার্স
মুক্তি - ১ জুন, ১৯৯০
রানিং টাইম - ১১৩ মিনিট
দেশ - যুক্তরাষ্ট্র
ভাষা - ইংরেজি
বাজেট - $৬৫ মিলিয়ন
বক্স অফিস - $২৬১ মিলিয়ন
ভাল দিক -
মুভিটিতে সাইন্স ফিকশন, একশান, ফ্যান্টাসি, গাণ ফাইট, হিউমার, টুইষ্ট, মাইন্ড বেন্ডিং ফ্যাক্টর সবই পাবেন। এমন কমপ্লিট প্যাকেজ ফিল্ম খুব কমই দেখা যায়।খারাপ দিক -
মুভিটির কিছু একশান দৃশ্যে ভায়োলেন্সের মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে কিছু দর্শকের খারাপ লাগতেও পারে। তবে তা আছে খুব অল্প সময়ের জন্য।
কাহিনী সারসংক্ষেপ -
মুভিটির প্রেক্ষাপট সুদূর ভবিষ্যৎ ২০৮৪ সালকে ঘিরে যখন মানুষ মঙ্গলগ্রহকে জয় করে ফেলেছে।
পৃথিবীর বাসিন্দা ডগলাস কোয়েড একজন নির্মাণ কর্মী। নিজের বিরক্তিকর জীবনের থেকে পরিত্রাণ পেতে সে চলে যায় রিকল নামক একটি কোম্পানিতে যারা মানুষের মস্তিষ্কে কোনো মিথ্যা স্মৃতি এমনভাবে বপন করে দেয় যেন মনে হবে সেসব ঘটনা সত্যিই তার সাথে ঘটেছে। কোয়েড এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মঙ্গলগ্রহে যেতে চায়। কিন্তু মঙ্গলগ্রহে যাবার প্রক্রিয়া শুরুর সময় এক গোল-যোগ দেখা দেয় যার ফলে তার বাস্তব ও অবাস্তব দুনিয়ার মধ্যে ঘোল পাকিয়ে যায়। মুভি যত এগুতে থাকবে, ততই নতুন কিছু বের হয়ে আসবে আর আপনার মাথাকে ঘুরপাক খাইয়ে দিবে। কি হচ্ছে বা কি হতে চলেছে তা জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে মাস্টারপিস এই মুভিটি...
লিখেছেন - আতিক আলম critics
author