নভোবিজ্ঞান(জ্যোতির্বিজ্ঞান)এর শাখা সমূহ-
১.বর্ণনামূলক জ্যোতির্বিজ্ঞান( Descripitive Astronomy) →জ্যোতিবিজ্ঞানের এ শাখায় ধারাবাহিক ভাবে মহাজাগতিক বস্তু সমূহের বাহ্যিক বিবরণ,ঘটনা এবং নীতিসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
২.গোলকীয় জ্যোতিবিজ্ঞান(Spherical Astronomy)→স্থানাঙ্ক পদ্ধতি ব্যবহার করে জ্যোতিষ্ক গুলোর আকার এবং দূরুত্ব বিবেচনায় না এনে শুধুমাত্র এদের অবস্থান কোন দূরুত্ব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
৩.ব্যবহারিক জ্যোতিবিজ্ঞান(Paractical Astronomy)→আলো দুরবিন, রেডিও দুরবিন অন্যান্য জ্যোতিবৈজ্ঞানিক যন্ত্র দ্বারা সজ্জিত গবেষণাগার (মানমন্দির/Observation)থেকে জ্যোতিষ্কগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে তাদের ভৌত অবস্থা, দূরুত্বওঅন্যান্য তথ্য থেকে তাদের সম্পর্কে বিভিন্ন হিসাবনিকাশ করাই হল ব্যবহারিক জ্যোতির্বিদ্যার মূল বিষয়।
৪.তাত্ত্বিক জ্যোতিবিজ্ঞান( Theoretical Astronomy)→মহাজাগতিক বস্তুসমূহের গতিপথ এবং তাদের উপর আলোর প্রতিসরণ, লম্বন,, বিচ্যুতি ইত্যাদির প্রভাবনিয়ে আলোচনা করা হয়।
৫.জ্যোতিবিগজ্ঞানিক বল বিজ্ঞান(Astronomical Mechanics)→মূলতগ্রহসমূহের এবং চন্দ্রের গতির উপর বলবিজ্ঞান এর প্রয়োগই হল জ্যোতিবিজ্ঞানিক বল বিজ্ঞান।
৬.জ্যোতিপদার্থবিজ্ঞান( Astrophysics)→এটি জ্যোতিবিজ্ঞানের সর্বাধুনিক শাখা। জ্যোতিষ্কগুলোর ভৌত অবস্থা, তাদের তাপমাত্রা, উজ্জ্বলতা, বিকিরণ, এবং বর্ণালী বিশ্লেষণের মাধ্যমে দূরুত্ব নির্ণয় এবং অভ্যন্তরের অবস্থা সম্পর্কে জানা এর আলোচ্য বিষয়।
৭.রেডিও জ্যোতিবিজ্ঞান( Radio Astronomy)→মহাকাশের কোনো জ্যোতিষ্ক বা নক্ষত্রের মত দূরে অবস্থিত যে অতিশক্তিশালী আলোক দূরবীক্ষণ দিয়েও তাদের দেখা সম্ভব হয়না। এ সমস্ত ক্ষেত্রে রেডিও দুরবিনের সাহায্যে ঐ নক্ষত্র থেকে আগত বিকিরণ বা রশ্নিকে ধরে রেডিও দুরবিন এর সাহায্যে বিকিরণ পর্যবেক্ষেন করে নক্ষত্রের অবস্থান জানা যায়।
৮.সৃষ্টিতত্ব বিজ্ঞান(Cosmology)→বিশ্ব সৃষ্টি এবং বিশ্বে প্রাণের উদ্ভব সম্পর্কে এ শাখায় আলোচনা করা হয়।