নিকট ভবিষ্যতে পুলিশের স্পেশাল ইউনিট প্রযুক্তির সাহায্যে খুনীদেরকে অপরাধ করার আগেই গ্রেফতার করতে পারবে। এমন এক ইউনিটের একজন অফিসার নিজেকে একটি অনাগত খুনের দায়ে অভিযুক্ত করে ফেলে।
মাইনোরিটি রিপোর্ট মুভি পোস্টার |
খুঁটিনাটি-
পরিচালক - স্টিভেন স্পিলবার্গ প্রযোজক - জেরাল্ড মলেন, বনি কার্টিজ গল্প - ফিলিপ কে ডিক চিত্রনাট্য - স্কট ফ্রাঙ্ক, জন কোহেন ধরণ - সাইন্স ফিকশন, থ্রিলার অভিনয়ে - টম ক্রুজ, কলিন ফ্যারেল, সামান্থা মর্টন মিউজিক - জন উইলিয়ামস সিনেমাটোগ্রাফি - জানুয কামিন্সকি সম্পাদনা - মাইকেল কাহন প্রোডাকশন কোম্পানি - টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্স, ড্রিমওয়ার্ক্স পিকচার্স পরিবেশনায় - ড্রিমওয়ার্ক্স পিকচার্স মুক্তি - ২১ জুন, ২০০২ রানিং টাইম - ১৪৫ মিনিট দেশ - যুক্তরাষ্ট্র ভাষা - ইংরেজি বাজেট - $১০২ মিলিয়ন বক্স অফিস - $৩৫৮ মিলিয়নভাল দিক-
টম ক্রুজের অনবদ্য অভিনয় আর স্পিলবার্গের নিখুঁত পরিচালনা মুভিটিকে বেশ জাঁকজমক করে তুলেছে। তাছাড়া সাউন্ড এডিটিং এর কাজ খুব ভাল ছিল।খারাপ দিক-
স্পিলবার্গের মুভিতে বলার মত তেমন খারাপ দিক থাকে না। তবুও মুভিটিতে একশান দৃশ্যে কার চেজের সিনগুলো আরো ভাল হতে পারতো।কাহিনী সারসংক্ষেপ-
২০৫৪ সাল, ওয়াশিংটন শহরে বলতে গেলে অপরাধের চিহ্নও নেই। এর খ্যাতি শুধু পুলিশের একদল এলিট ফোর্সের। তাদের স্কোয়াডের নাম থাকে 'প্রিক্রাইম'। সেই দলে তিনজন বিশেষ প্রতিভাশালী মানুষ থাকে। তাদের বিশেষ ক্ষমতা হচ্ছে তারা কোনো অপরাধ ঘটার আগেভাগে ভবিষ্যদ্বাণী করে দিতে পারে। এই তিনজনের নাম রাখা হয় 'প্রিকগ'। স্পেশাল ফোর্সটির লিডার জন এন্ডারটন বিশ্বাস করেন যে তাদের এই দক্ষতা অটুট থাকবে। ঘটনাক্রমে প্রিকগরা ভবিষ্যদ্বাণী করে যে পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে জন নিজেই একটি খুনের অপরাধ করে ফেলবে। সমস্যা আরো বেড়ে যায় যখন জন কোনোভাবে বুঝতে পারেনা যে কে খুন হবে। তখন সে 'মাইনোরিটি রিপোর্ট ' পর্যবেক্ষণ করে এই রহস্যের গভীরে যাওয়ার স্বীদ্ধান্ত নেয়। এর মানে হচ্ছে আগাথা নামে যে মহিলা প্রিকগ ছিল সে হয়তো এই প্রক্রিয়া দ্বারা তার ভবিষ্যদ্বাণীতে ভিন্ন গল্প বলবে এবং এন্ডারটনকে নির্দোষ প্রমাণ করবে। এন্ডারটন কি পারবে এই পরিকল্পনায় সফল হতে? জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে মাস্টারপিস এই মুভিটি...
লিখেছেন - আতিক আলম , লেখক এবং মুভি সমালোচক