মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার ( NASA ) স্পেস লঞ্চ সিস্টেম ( SLS ) একটি উচ্চ ভর বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন একটি মহাকাশযান
মহাকাশযান উড্ডয়নের দৃশ্য |
২০১২ সালে স্পেস শাটল প্রোগ্রামের পর্দা নামার পর নাসা এরিস-১ ও এরিস-৫ রকেট দ্বারা নভোচারী এবং কার্গো বহন করাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে এবার যুগান্তকারী চমক আসতে চলেছে SLS এর বেলায়। নাসার ডিপ স্পেস এক্সপ্লোরেশান প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে SLS হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট সিস্টেম। এর মোট থ্রাস্ট একটা স্যাটার্ন-৫ রকেটের চেয়েও অনেক বেশি।
নাসার স্পেস শাটল প্রোগ্রামের মহাকাশযান |
SLS প্রজেক্টের জন্য নাসার খরচ হবে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলার! ১১১.২৫ মিটার উচ্চতার রকেটটি থাকবে ২টি স্টেজে বিভক্ত। রকেটটির ব্লক ১ ও ১বি ভার্সন চাঁদে যথাক্রমে ৫৭০০০ ও ৮২০০০ পাউন্ডের পেলোড নিয়ে যেতে পারবে । লো আর্থ অরবিটের ক্ষেত্রে ব্লক ১ ও ২ যথাক্রমে ২০৯০০০ ও ২৯০০০০ পাউন্ড পেলোড বহন করার ক্ষমতা রাখে! এমনকি ডিপ স্পেসেও ব্লক-২ ৯৯০০০ পাউন্ড পেলোড নিয়ে যেতে সক্ষম। স্যাটার্ন-৫, ফ্যালকন হেভি, এনার্জিয়া, এরিস-৫ এর মতো রকেটকে যে SLS সহজেই টেক্কা দিতে পারবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মোট ৩২০০০ কিলোনিউটন থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে পারবে এই দানবাকৃতির রকেটটি।
লঞ্চ প্যাডে মহাকাশযান |
রকেটের ফার্স্ট স্টেজে বসানো হবে 4RS-25D/E ইঞ্জিন আর সেকেন্ড স্টেজে থাকবে 1RL10B-2 ইঞ্জিন। দুটো স্টেজেই ব্যবহৃহ হবে লক্স ফুয়েল। রকেটটি প্রথমে ব্লক-১ ভার্সন, তারপর ব্লক-১ বি ভার্সন এবং শেষে ব্লক-২ ভার্সনে ব্যবহৃত হবে। ১০ বছরেরও অধিক সময় ধরে ১৩টিরও অধিক মিশনে এটি অংশগ্রহণ করবে বলে নাসার ঘোষণা রয়েছে।
প্রোগ্রামটি এখনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সালের জুনেই এটির প্রথম উড্ডয়নের কথা রয়েছে। আর আমরা দেখতে চলেছি মহাকাশে ছুটে বেড়ানো এক দানবীয় মহাকাশযানকে।
#Interstellar
-সংগৃহীত
#Interstellar
-সংগৃহীত