Featured

Warehouse

বুয়েট-এ (BUET) ভর্তি ও যাবতিয় যা জানতে হবে

, জুলাই ২৮, ২০১৯ WAT
Last Updated 2021-03-25T05:32:16Z
buet admission  buet subject ranking list  buet location  buet world ranking  buet student  buet cse  buet hall  buet logo
BUET admission

ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের কাছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) একটি স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান। কিন্তু মাত্র ১০৩০ আসনের বিপরীতে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের বাছাই করতে এই প্রতিষ্ঠানটি নানা বাধ্যবাধকতা দিয়ে দিয়েছে। বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার এই মহাযুদ্ধে যারা অংশ গ্রহণ করতে চান তাদের জন্যে কিছু বিষয় জানা অত্যন্ত আবশ্যক। তাহলে আসুন জেনে নিই বুয়েট ভর্তির বিস্তারত তথ্য।


আবেদনের যোগ্যতা:-

.
গতবছরের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে আমার ধারণা মতে যারা কেবল মাত্র ২০১৬ ও ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষা এবং ২০১৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে কেবল তারাই এই বছর বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন। তবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ, রসায়ন বিষয়ের প্রত্যেকটিতে আলাদা করে জিপিএ ৫ পেতে হবে। ইংরেজি এবং বাংলায় আলাদাভাবে সর্বনিম্ন ৪ পয়েন্ট করে পেতে হবে।
আবেদনকারীদের মধ্য থেকে বাছাই করে ৮৫০০ জনকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীভুক্ত সকল সঠিক আবেদনকারীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।

আসন সংখ্যা:-
.
ভর্তি পরীক্ষায় সব বিষয়গুলোকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়।
.
---গ্রুপ ‘ক’---

  • > কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ(৬০),
  • > বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগ(৫০),
  • > সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ(১৯৫),
  • > পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ(৩০),
  • > মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ(১৮০),
  • > নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগ(৫৫),
  • > ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ(৩০),
  • > ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ(১৯৫),
  • > কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ(১২০),
  • > বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ(৩০),
  • > নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ(৩০)।

>গ্রুপ ‘খ’

  • ‘ক’ গ্রুপের সকল বিষয় এবং স্থাপত্য বিভাগ(৫৫)।


পরীক্ষা পদ্ধতিঃ-
.

***‘ক’ গ্রুপের জন্যে গণিত, পদার্থ, রসায়ন এই তিন বিষয়ে ২০০ নম্বর করে মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে। এই তিনটি বিষয়ের ২০০ নম্বরের পুরোটাই লিখিত পরীক্ষা হবে এবং এবারের ভর্তি পরীক্ষায় কোন এমসিকিউ থাকবে না।


Note :-3 hours written exam. ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ এই তিন বিষয়ের প্রতিটা থেকে ২০ টা করে মোট ৬০ টি প্রশ্ন থাকবে। ৬০০ নম্বর।
.
***‘খ’ গ্রুপের জন্যে ৬০০ নম্বরের পাশাপাশি ৪০০ নম্বরের মুক্ত হস্তে অংকনের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
.
***ভর্তি পরীক্ষার সময় কেবলমাত্র কলম, পেন্সিল, ইরেজার, পেন্সিল শার্পনার ও অনুমোদিত ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
.
***উল্লেখ্য, ‘খ’ গ্রুপের ৪০০ নম্বরের মুক্ত হস্তে অংকন পরীক্ষায় পাশ করার জন্যে শতকরা কমপক্ষে ৪০ ভাগ নম্বর পেতে হবে।
::
::
::

" বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কিছু " Frequently Asked Question " এর উত্তর "

::
প্রশ্ন ১) BUET এ ভর্তি পরীক্ষা দিতে কি SSC তে গোল্ডেন লাগবে ?
উত্তর: না গোল্ডেন লাগবে না । গোল্ডেন তো দূরের কথা GPA 4 হলেই হবে।
বুয়েট এ এসএসসির রেজাল্ট দেখে না। S0, যারা এসএসসিতে A+ / Golden পাও নাই এর জন্য মন খারাপ করছো তারা জেগে উঠো HSC তে ভাল করো।
.
প্রশ্ন ২) HSC তে কত পয়েন্ট লাগবে ?
উত্তর : এটা বছর হতে বছর পরিবর্তিত হয় ।
>২০১১ : Phy Chem Math must A+ এবং Eng এ মিনিমাম A . মোট ১৯ পয়েন্ট লাগবে ।
>২০১২ : Phy Chem Math Eng must A+ , total 20 points.
>২০১৩ : Phy Chem Math Eng Bang মিলে ২৫ পয়েন্ট এর মাঝে ২৪ থাকা লাগবে । ২০১৩ সালে অনেকেই Phy , Chem তে A+ miss করেও ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারছে ।
>২০১৪ : Phy Chem Math must A+ এবং Bang ও Eng মিলে মোট ৯ পয়েন্ট থাকা লাগবে ।
@Note : ২০১৪ সালে সম্পুর্ণ ভর্তি পরীক্ষা লিখিত ভাবে নেওয়া হয় ।
>২০১৫ : Phy Chem Math must A+. Eng & Bangla তে মিনিমাম A.
>২০১৯: Yet not published. তবে গতবারের থেকে খুব বেশি পরিবর্তন হবার কথা না। এমনকি অপরিবর্তিতও থাকতে পারে।
.
প্রশ্ন ৩) আমাদের তো নতুন সিলেবাস । পুরাতন বই থেকে কি প্রশ্ন আসবে ?
উত্তর: এই প্রশ্নটা সব চেয়ে বেশি জিজ্ঞাসা করা হয়েছে ।
হুম তোমাদের সিলেবাস নতুন । পুরাতন বই এর অনেক কিছুই নাই আবার বেশ কিছু টপিক যোগ হয়েছে । তবে চিন্তার কোন কারণ নেই তোমাদের সিলেবাস এর বাহিরে থেকে কোন প্রশ্ন হবে না তবে সিলেবাস এর প্রতিটা টপিক থেকেই প্রশ্ন হতে পারে । তোমাদের নতুন সিলেবাস এ কিছু কিছু টপিক খুব কম ভাবে আলোচনা করা আছে যেগুলো আগের সিলেবাস এ বিস্তারিত আলোচনা করা ছিল। এটা সম্পুর্ণ আমার নিজস্ব পরামর্শ যে এই টপিক গুলো তুমি পুরাতন বই থেকে পড়ে নিতে পারো। এর চেয়ে বেশি কিছু করা লাগবে না ।
.
প্রশ্ন ৪) ICT থেকে কি ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন আসবে ?
উত্তর: আমাদের সময় তো ICT ছিল না Engineering পড়ার জন্য Phy Chem Math এ ভাল হতে হবে । এর জন্য এই সাব্জেক্ট গুলোইই বেশি বেশি চাই ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটি গুলো । যেহেতু ICT ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটা অংশ । সো এখান থেকে প্রশ্ন আসবে সেই সম্ভাবনাই তো বেশি !
নোটিশ আসলে নিশ্চিত হবা যাবে , তবে প্রস্তুতি নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ ।
.
প্রশ্ন ৫) ভাইয়া , ৬০০ এর মাঝে কত মার্কস থাকলে আমি CSE পেতে পারি ??
উত্তর : তুমি যদি আমাকে প্রশ্ন করতে আমি কত মার্কস অর্জন করলে বুয়েট এ চান্স পাবো , আমি তোমার সেই প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারতাম না । আর এখানে তো তুমি সরাসরি ডিপার্টমেন্ট এর কথা জানতে চেয়েছো ।
মনে করো, তুমি খুব ভাল পরীক্ষা দিয়েছো । তুমি ৬০০ তে ৪০০ পেয়েছো কিন্তু তোমার চেয়ে ১০০০ জন ৪০০ এর চেয়ে বেশি মার্কস পেয়েছে । তখন তো তোমার চান্সই হল না । তোমার চান্স যেমন তুমি কত ভাল পরীক্ষা দিলে সেটার ওপর নির্ভর করে , তেমনই বাকিরা ও কেমন পরীক্ষা দিল সেটার ওপরও নির্ভর করে । তবে আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ৪০০ মার্কস পেলে অবশ্যই ( ইনশাআল্লাহ ) চান্স পাবে ।
আরও একটা বিষয় নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি , আমার মনে হয় ৫০ % - ৬০ % মার্কস পেলে মোটামুটি অনেক ভাল পজিশন নিয়েই চান্স পাওয়া যায় ।
বুয়েট এ চান্স পাবার পরেও তুমি কত মার্কস পেয়ে চান্স পেয়েছো তা তোমাকে জানানো হয় না , তবে অনেক সময় বুয়েট এ যে ফার্স্ট হয় তাঁর মার্কস জানানো হয় (Officially না , অনেক সময় অনেক স্যার এর মুখে শোনা যায় এই পর্যন্তই ) । ফার্স্ট বয় এর মার্কস কত ছিল সেই ধারণা থেকে আমরা বাকিরা আমাদের মার্কস সম্পর্কে নিজেরা একটু ধারণা করে নেই । তবে এই প্রশ্নের সঠিক জবাব দেওয়া সম্ভব না , তুমি কত মার্কস অর্জন করলে চান্স পাবে ।
এবার আসি CSE প্রসঙ্গে । তুমি কোন ডিপারট্মেন্ট পাবে এটা তো অনেক পরের কথা । তবে তুমি যদি বুয়েট এ নিশ্চিত CSE পেতে চাও তবে তোমার মেরিট পজিশন ১২০ এর মাঝে রাখো , তুমি ১০০ % CSE পাবে ।
( বুয়েট এ CSE তে মোট আসন সংখ্যা ১২০ )
তবে ২০১৮ সালে ৩১৫ মেরিট পজিশন পর্যন্ত CSE ছিল ( সঠিক সংখ্যা টা আমার মনে নেই , আমি কাছাকাছি একটা সংখ্যা বললাম )
.
প্রশ্ন ৬) আমি কি HSC তে ইম্প্রুভ দিলে বুয়েট এ আবেদন করতে পারবো ?
উত্তর : এই প্রশ্নের জবাব সরাসরি উদাহরণ দিয়ে বুঝাই ।
যদি ২০১৮ সালে বুয়েট এমন পয়েন্ট চেয়েছে যে , কোন পরীক্ষার্থীর সেই পয়েন্ট নাই , কিন্তু যদি সে ২০১৯ সালে ইম্প্রুভ দিয়ে সেই পয়েন্ট অর্জন করতে পারে , তবে সে ২০১৯ সালে বুয়েট এ আবেদন করতে পারবে । পরীক্ষার্থী যে সালে HSC দিয়ে উত্তীর্ণ হবে , তাকে সেই বছরই বুয়েট এ আবেদন করতে হবে ।
** যে একবার বুয়েট এ আবেদন করেছে এবং বুয়েট তাকে ভর্তি পরীক্ষা দেবার যোগ্য বলে ঘোষণা করেছে , তাঁর মানে যে এক বার বুয়েট এর ভর্তি পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করেছে , সে আর দ্বিতীয় বার কোন চান্স পাবে না ।
.
প্রশ্ন ৭) ভাইয়া ৩০০ / ৩৫০ মার্কস পেলে বুয়েট এ চান্স পাবো ?
উত্তর : এই প্রশ্নের ৯০ % উত্তর ৫নং প্রশ্নের উত্তরে দেওয়া হয়েছে । তবে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে আশাবাদী , হ্যাঁ ইনশাআল্লাহ এই রকম মার্কস অর্জন করতে পারলে চান্স পাবে ।
.
প্রশ্ন ৮) MCQ তে পেন্সিল ব্যাবহার করা যাবে ??
উত্তর : হ্যাঁ 2B পেন্সিল ব্যাবহার করা যাবে । 4B বা 6B ব্যাবহার করতে যেয়ো না , এতে এক বৃত্তের কালি অন্য বৃত্তে চলে যেতে পারে ।
.
প্রশ্ন ৯) লিখিত কলম দিয়ে না লিখে পেন্সিল দিয়ে লিখলে হয় না ?? আমার অনেক কাটাকাটি হয় তো ।
উত্তর : বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার লিখিত অংশে অন্যতম একটা চ্যালেঞ্জ হল অল্প জায়গাতে তোমার সম্পূর্ণ উত্তর করে আসা । পেন্সিল ব্যাবহার করলে অনেকাংশেই সেই চ্যালেঞ্জ কমে যায় । আমার মনে হয় না , কেউ তোমাকে লিখিত তে পেন্সিল ব্যাবহার করার পরামর্শ দিবে । আর কাটাকাটি তো হতেই পারে , তাই বলে ভুল হলে তুমি তো আর সেই ভুল অংশে কলম দিয়ে পেইন্ট করা শুরু করেবে না । লিখতে ভুল হয়ে গেলে সেই অংশটুকু খুব সুন্দর করে কেটে দাও । আর প্রশ্নের নিচে যে স্পেস দেওয়া হয় , প্রথমে তোমার কাজ হবে সেই স্পেস টাকে ৩ ভাগ এ ভাগ করা । তোমার যদি প্রশ্নটা সরাসরি কমন পড়ে ( আলহামদুলিল্লাহ্‌ ) তাহলে তো তোমার কোন চিন্তা নাই , সরাসরি উত্তর লিখে দাও । যদি মনে হয় এই প্রশ্ন টা নিয়ে তোমার একটু চিন্তা করা লাগবে , তাহলে ঐ ৩ টা পার্ট এর লাস্ট পার্ট এ তুমি রাফ কর ( আর লিখিত তে রাফ করার জন্য বুয়েট এ লিখিত প্রশ্নের শেষ এ স্পেস দেওয়া হয় , তবে MCQ তে প্রশ্নের ওপরই রাফ করতে হবে ) । আর কাটাকাটি হলে সুন্দর করে কেটে দাও । আর লাইন স্কিপ করা নিয়ে চিন্তা কর না , এটা তোমার স্কুল / কলেজ এর পরীক্ষা না যে , ৩ নং লাইন এর পর ৪ নং লাইন না লিখে ৫ নং লাইন লিখলে তোমার মার্কস কেটে নেওয়া হবে । তুমি তোমার ইচ্ছা মত লাইন স্কিপ করে তোমার উত্তর কর , তবে আবার লাইন স্কিপ করতে যেয়ে ভুল করে ফেলো না , তখন আবার আম ও যাবে ছালাও যাবে ( না না আম গেলেও ছালা যাবে না , উত্তর এর মাঝে ভুল করে ফেললেও partial marking আছে না )
.
প্রশ্ন ১০) ক্যালকুলেটর নিয়ে ঝামেলা হয় নাকি??
উত্তর : নন প্রোগামেবল সব ক্যালকুলেটর অ্যালাউড। তবে একটির বেশী রাখা যাবে না। আর যেকোন ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
.
প্রশ্ন ১১ ) লিখিত তে আমি ম্যাথ শেষ করতে না পারলে কি করবো ??
উত্তর : ম্যাথ শেষ করতে না পারলে আবার কি করবে ?? রেখে দিবে । এটা আবার প্রশ্ন করা লাগে নাকি ?
তবে আশার বাণী হল , তোমার ম্যাথ এর প্রসেস যদি ঠিক থাকে , তবে তুমি partial marking পাবে । যেটা পারছো না , সেটা নিয়ে টাইম লস করার কোন দরকার আছে নাকি ?? পরের প্রশ্নে চলে যাও ।
.
প্রশ্ন ১২) বুয়েট এ কি আসলেই silent expel আছে ?
উত্তর : হ্যাঁ ভাই / বোন , এটা আসলেই আছে । হাশর এর ময়দানে যেমন সবাই আল্লাহ আল্লাহ করবে , কার ও দিকে কার ও তাকানোর বিন্দু মাত্র আবকাশ নাই , বুয়েট এর এক্সাম হল ও প্রায় ঠিক তেমনই । তুমি নিজে না পারলে কিছু করার নাই । তোমাকে কেউ সাহায্য করার থাকবে না । আর যদি কারো সাহায্য নিতে যাও , বা আশেপাশের কারো সাথে ম্যাথ এর উত্তর মিলানোর চেষ্টা কর বা আশেপাশের কারো সাথে কথা বল / বলার চেষ্টা কর , তবে তোমার বুয়েট এ পড়ার স্বপ্ন ওখানেই শেষ । স্যার তোমার রোল মার্ক করে রাখবেন এবং খাতা সরাসরি ডাস্টবিন এ ফেলে দিবেন । তোমার খাতা খুলেও দেখা হবে না । বুয়েট এর পরীক্ষার হল এ গার্ড খুব কড়া দেওয়া হয় , তাই ভুলেও কোন অসদুপায় অবলম্বন করতে যেয়ো না ।
বুয়েটিয়ানরা শুধু মাত্র এই জায়গাতে গর্ব করে বলতে পারে , আমি নিজের যোগ্যতাতে বুয়েট এ চান্স পেয়েছি , আমার চান্স নিয়ে বিন্দু মাত্র সন্দেহ কারও করার কোন সুযোগ নাই । আর আমি আশা করবো , বুয়েট এ চান্স পাবার পরে তোমরাও বলতে পারবে , হ্যাঁ আমি সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতা বলে বুয়েট এ চান্স পেয়েছি ।
সবার জন্য শুভ কামনা থাকলো
মহান আল্লাহ তা’লার অশেষ রহমত তোমাদের সাথে থাকুক।
লিখেছেন - শিশির আসাদ
বুয়েট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংক - https://www.buet.ac.bd/