ভ্যাক্সিন বা টিকা হলো এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ যা অ্যান্টিবডি তৈরী হওয়ার প্রক্রিয়াকে উত্তেজিত করে দেহে কোন একটি রোগের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মাতে সাহায্য করে। সহজ ভাষায় মানবদেহে কোন জীবাণু প্রবেশ করলে এর বিরুদ্ধে ইম্যুনিটি সৃষ্টি করার জন্য কৃত্রিমভাবে যা প্রদান করা হয় তাই ভ্যাক্সিন (Vaccine) বা টিকা ।
ভ্যাক্সিনের প্রয়োগের মাধ্যমে পৃথিবীজুড়ে নানান রোগের জীবাণু নির্মূল সম্ভব হয়েছে ।
ভ্যাক্সিন কে তিনটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে -
১) লাইভ অ্যাটিনিউটেড যেমন-
- ব্যাক্টেরিয়াজাত: বি সি জি, প্লেগ, টাইফয়েড ওরাল।
- ভাইরাসজাত ও মুখে সেব্য: পোলিও,হাম, পীতজ্বর।
- রিকেটসিয়াল-এপিডেমিক টাইফাস।
২) নিহত/নিষ্ক্রিয়কৃত-
- ব্যাক্টেরিয়াল-টাইফয়েড,কলেরা,পারটুসিস,
- ভাইরাল-রেবিস,হেপাটাইটিস-বি।
- টক্সয়েড - টিটেনাস,ডিপথেরিয়া।
কার্যপ্রণালী-
ভাইরাস (Virus) থেকেই তার দ্বারা সৃষ্ট রোগের ভ্যাক্সিন প্রস্তুত করা হয়। যেকোন জীবাণুর আছে দুইটি বৈশিষ্ট্য থাকে -
- রোগ সৃষ্টি করা (Pathogenecity)।
- দেহের অভ্যন্তরে ঐ একই রোগের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য কিছু পদার্থ (Antibody) তৈরী করা।
ভ্যাক্সিনেশন আবার দুই প্রকার-
- রোগ হবার আগেই ভ্যাক্সিন দেয়া (Active)
- রোগ হবার পরে দেয়া(Passive)।
অনেক সময় একটি ভ্যাক্সিনের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এর সাথে আরেকটি ভ্যাক্সিন যোগ করা হয়। একে এডজুভেন্ট (Adjuvant) বলে। যেমন অ্যানথ্রাক্স ভ্যাক্সিনের সাথে পারটুসিস ভ্যাক্সিন যোগ করলে অ্যানথ্রাক্সের কাজ করার গতি বৃদ্ধি পায়। আবার ভ্যাক্সিন যাতে দূষিত না হয় এজন্য অনেক সময় এর সাথে প্রিজারভেটিভ (Preservative) মেশানো হয়।
Keywords - Vaccine, Tika, coronavirus, covid-19, ভ্যাক্সিন, টিকা, কোভিড-১৯, করোনাভাইরাস