প্রতিটি ভাষায়ই এমন কিছু বাক্য রয়েছে যেগুলোতে লুকিয়ে আছে গভীর ভাব। কবি, সাহিত্যিক, মনীষীদের রচনা কিংবা হাজার বছর ধরে প্রচলিত প্রবাদ প্রবচনে নিহিত থাকে জীবনসত্য। এ ধরনের গভীর ভাব বিশ্লেষণ করে তা সহজভাবে বুঝিয়ে দেওয়াকে বলে ভাবসম্প্রসারণ।
ভাবসম্প্রসারণে যুক্তি, দৃষ্টান্ত ও প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি দিয়ে মূলভাব পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
ভাবসম্প্রসারন লেখার নিয়ম
- প্রদত্ত গদ্য বা পদ্যাংশটি পড়ে মূল ভাবটি বুঝতে হবে।
- প্রদত্ত অংশটি রূপকাশ্রয়ী হলে রূপকের আড়ালে প্রচ্ছন্ন ভাববস্তুটি অনুসন্ধান করে বের করতে হবে।
- প্রদত্ত অংশটি রূপকাশ্রিত না হয়ে ভাবব্যণ্জকও হতে পারে। এ রকম ভাবের সরাসরি সম্প্রসারণ করাই বিধেয়।
- ভাবসম্প্রসারণ ব্যাখ্যা নয়। ব্যাখ্যাংশের মতো রচনার নাম,রচয়িতার নাম, প্রসঙ্গ কথা- কোন কিছুর উল্লেখ করা যাবেনা।
- মূল ভাবকে ফুটিয়ে তুলতে উদ্ধৃতি, দৃষ্টান্ত প্রয়োগ, পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক কাহিনীর উল্লেখ, অলঙ্কার, উপমাদির প্রয়োগ চলতে পারে।
- ভাবসম্প্রসারণের আকৃতিগত আয়তনের ব্যাপারে বাঁধাধরা নিয়ম নেই।
- সহজ সরল ভাষা হবে ভাবসম্প্রসারণের প্রকাশ মাধ্যম।
- সাধু বা চলিত যে কোনো একটি ভাষারীতি গ্রহণ করতে হবে।
পড়ুন - চিঠি লেখার নিয়ম