মিমার সিনান কে বলা হয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার ।
তার জীবদ্দশয়ায় তিনি -
- ৯২ টি বৃহৎ মসজিদ,
- ৫২ টি সাধারণ মসজিদ,
- ৫৫ টি মাদ্রাসা,
- ৪৮ টি হাম্মামখানা,
- ৩৬ টি প্রাসাদ,
- ২০ টি বৃহৎ সরাইখানা,
- ১৭ টি ইমারেত,
- ১০ টি ব্রীজ সহ
আরও অনেক স্থাপনা তৈরী করেছেন।।
মিমার সিনানের প্রভাব ইউরোপের চার্চ ও অন্যান্য স্থাপনাতেও পাওয়া যায়। লিওনার্দো দা ভিঞ্চির ইতিহাস বিখ্যাত এই প্রকৌশলীর ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। তৎকালীন সময়ের আন্দ্রেয় পাল্লাদিও, মাইকেল এঞ্জেলো তারা সকলে মিমার সিনানের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।
ইউরোপ তখন সবেমাত্র রেনেসাঁর যুগে প্রবেশ করেছিল। ইউরোপের শিক্ষাকেন্দ্র ছিল তাই মুসলিম দুনিয়া। ১৯০০ সালের আগ পর্যন্ত দুনিয়ার জ্ঞানের ভাষা ছিল আরবী। জ্ঞান ছিল মুসলিম দুনিয়া কেন্দ্রিক।
তিনি শুধুমাত্র একজন স্থাপত্যবিদই ছিলেন না, তিনি অনেক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং যুদ্ধের ময়দানে তার বীরত্বের কারণে তাকে পরে সেনাপতি বানানো হয়। পরবর্তীতে সুলতান সুলায়মান তার স্থাপনা সমূহ দেখে তাকে যুদ্ধ যেতে বারন করে দেন এবং তাকে শুধু স্থাপত্য নিয়ে কাজ করতে বলেন।
মিমার সিনানের বিখ্যাত স্থাপনা হচ্ছে ইস্তাম্বুলের সুলায়মানিয়া মসজিদ। তিনি মসজিদটি এমনভাবে তৈরী করেছিলেন যেন মসজিদের ভেতরে প্রত্যেকেই ইমামের কথা শুনতে পায়। তিনি সে কাজটি করে দেখিয়েছিলেন।
এটি ইতিহাসের একমাত্র মসজিদ যেখানে বর্তমান সময়ের আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম ছাড়া প্রত্যেক মুসল্লি ইমামের আওয়াজ সুস্পষ্টভাবে শুনতে পারেন। আজও তা পৃথিবীতে একমাত্র নিদর্শন।
তৎকালীন ইতালী ইঞ্জিনিয়াররা যখন ইস্তাম্বুলে আসেন তখন মিমার সিনানের তৈরীকৃত সুলেমানিয়া মসজিদ দেখে এতোটাই অবাক হয়েছিল যে তারা আপনা-আপনিই বলে উঠেছিল-
"এই সুলেমানিয়া মসজিদ যদি আমাদের ইউরোপে হত তাহলে আমরা বলতাম এটা কোন মানুষের তৈরি নয়, এটা স্রষ্টার তৈরি"
-ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত