করোনাভাইরাস মহামারীর প্রথম দিন থেকেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাচ্চাদের ভূমিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল। এখন, কিছু দেশ লকডাউনের কয়েক সপ্তাহ পরে দেশের স্কুলগুলি আবার শুরু করার অনুমতি দেওয়ার কারণে বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করছেন।
শিশুরা নিশ্চিত COVID-19 এ আক্রান্ত হবার ক্ষেত্রে তুলনামূলক একটি সামান্য অংশের প্রতিনিধিত্ব করে । চীন, ইতালি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২% এরও কম সংক্রমণের সংক্রমণ ঘটেছে ১৮ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে।
তবে শিশুরা বড়দের চেয়ে সংক্রামিত হওয়ার এবং ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম কিনা তা নিয়ে গবেষকরা বিভক্ত। গবেষকদের কাছে এই বিষয়টি এখনো পরিষ্কার হয় নি । কেউ কেউ বলে যে এখনো পর্যন্ত যতটুকু প্রমান পাওয়া গেছে এতে শিশুরা কম ঝুঁকিতে থাকে। কিন্তু এটি এখনো গবেষণাধীন ।
জার্মানি এবং ডেনমার্কের শিশুরা ইতোমধ্যে স্কুলে ফিরে গেছে এবং অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সের কয়েকটি অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা আগামী সপ্তাহগুলিতে ধীরে ধীরে স্কুলে ফিরে যেতে চলেছে।
বেশিরভাগ বিজ্ঞানীরা শিশুরা ক্লাসরুমে তাড়াতাড়ি ফিরে আসার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন । তারা বলছেন যে, বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা বয়স্কদের তুলনায় কম হবার কারণ হলো তাদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণ খুব বেশি পরিমাণে দেখা যায়নি - বিশেষত অনেক স্কুল বন্ধ থাকার কারণে এমনটা হয়েছে। গবেষকরা আরো বলছেন, বাচ্চাদের বয়স্কদের মতো প্রায়শই পরীক্ষা করা হয় না, কারণ তারা করোনাভাইরাসের জীবাণু কোভিড-১৯ বহন করলেও বেশিরভাগের শরীরে দৃশ্যমান কোনো উপসর্গ থাকে না।
একদিক থেকে দেখতে গেলে বিজ্ঞানীরা এখনো শিশুদের সংক্রামন ছড়ানো নিয়ে কোনো স্থির এবং ঐক্যমত ভিত্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন নি । বেশিরভাগ বিজ্ঞানী করোনাভাইরাসের উপসর্গ না দেখা যাবার কারন অনুসন্ধান করছেন ।