বিসিএস |
কুড়িগ্রামের ছেলে আবু সায়েম। বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় যাওয়ার মতো ভালো কোনো পোশাক ছিল না তাঁর। এক বন্ধু তখন পাশে এসে দাঁড়ায়। আর চাকরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো দিন সকালে নাশতা করেননি। শুধু দুপুরের দিকে পাঁচ টাকা দামের একটা পাউরুটি খেয়ে দিন পার করতেন। আর আজ তিনিই বিসিএস ক্যাডার।
আবু সায়েমের বাবা অন্যের জমিতে কাজ করতেন। সে আয়ে তিনবেলা ভাত জুটত না। বাড়তি আয়ের জন্য মা কাঁথা সেলাই করতেন। তারপর সে কাঁথা বাড়ি বাড়ি বিক্রি করতেন। কত দিন কত রাত সায়েম যে না খেয়ে কাটিয়েছেন, সে হিসাব নিজেও জানেন না।
আজ সায়েমের কষ্টের দিন ঘুচেছে। ৩৫তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সমাজকল্যাণে মেধাতালিকায় দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে সায়েম বলেন, ‘মা অন্যের কাঁথা সেলাই করে দিতেন। প্রতি কাঁথা হিসেবে মজুরি পেতেন ৭০ থেকে ১০০ টাকা। মায়ের ১০টি আঙুলে জালির মতো অজস্র ছিদ্র। আজ আমার মায়ের জীবন সার্থক।’