মহাকাশ সম্পর্কে তথ্য |
নাসার মহাকাশচারী পেগি হুইটসন (Peggy Whitson) ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (International Space Station) এ ৬৬৫ দিন কাটিয়েছেন । ৬৬৫ দিন মহাকাশে কাটানো মানে দীর্ঘ একটি সময় কাটানো । মহাকাশচারী পেগি হুইটসনের মতে মহাকাশে অবস্থানের সময় জীবন যাপনে সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপারটি ছিল টয়লেট বা ওয়াশরুম ব্যবহার করা। যেহেতু মহাকাশে গ্রেভিটি কাজ করে না তাই সেখানে ওয়াশরুম ব্যবহার করা ভারি কষ্টের বিষয় । পেগি হুইটসন মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে তার সেই কষ্টকর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ।
সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারকে দেয়া সাক্ষাতকারে পেগি হুইটসন জানিয়েছেন, মহাশূন্যে ৬৬৫ দিন কাটিয়ে আসাটা নাসার জন্য একটি রেকর্ড। তবে রাশিয়ার মহাকাশচারীরা আরও বেশি সময় আন্তজার্তিক মহাকাশ স্টেশনে কাটানোর ঘটনা আছে। পৃথিবীতে তিনি ফিরে এসে মহাকাশের ভরশূন্য পরিবেশকে মিস করছেন। কিন্তু মহাকাশযানের টয়লেট বা ওয়াশরুম ব্যবহার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাসও ফেলেছেন পেগি।পেগি বলেন,
‘ইন্টারন্যশনাল স্পেস স্টেশন ঠিক হোটেল নয়। সেখানে টয়লেটের ব্যবস্থা অত্যান্তই শোচনীয়। রাশিয়া থেকে তৈরি করা হাই-টেক, ১৯ হাজার মার্কিন ডলারের স্পেস টয়লেটও তেমন সুবিধার নয়।মুত্রত্যাগ করাটা তুলনামূলক সহজ। মহাকাশচারীরা ফ্যান লাগানো একটি ফানেলের মাঝে মুত্রত্যাগ করেন। মহাকাশের ভরশূন্য পরিবেশে যেন মূত্র ভেসে না বেড়ায় তার জন্যই এই ব্যবস্থা। এরপর আটদিন ধরে এই মুত্রকে রিসাইকেল করা হয় এবং সেই রিসাইকেল করা পানি আবার পান করেন মহাকাশচারীরা। ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ মূত্র এভাবে রিসাইকেল করা হয়।তবে আপনি যদি মলত্যাগ করতে চান, তাহলে সমস্যা একটু বেশি। টয়লেটে প্লেট আকারের একটি ফুটো আছে যেখানে মলত্যাগ করতে হয়। মুত্রত্যাগের মতোই ফ্যানের সাহায্যে তা জমা হয় একটি প্লাস্টিক ব্যাগে।’পেগি মুখ বিকৃত করে জানান, ওই ব্যাগ ভরতে শুরু করলে প্লাস্টিকের গ্লাভস পরে চেপে চেপে তাতে আরও জায়গা করে নিতে হয়। ব্যাগটা পুরোপুরি ভরলে তবেই তাকে অন্যান্য আবর্জনার সাথে একটি কার্গো শিপে ভরে ফেলে দেওয়া হয়। পৃথিবীর টানে বায়ুমণ্ডলের ঘর্ষণে তা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অনেক সময়েই এই প্রক্রিয়ায় ঝামেলা হয়। দেখা যায় টয়লেট কাজ করছে না, মলের টুকরো বাতাসে ভাসছে এবং তা ধরতে ছুটছেন মহাকাশচারীরা।