Bangladesh Education Ministry |
বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারির কারণে এবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে না। জেএসসি, জেডিসি, এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফলের গড়ের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ করা হবে। মূল্যায়নের পর ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। আজ এক ভার্চ্যুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
দীপু মনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমাদের কাছে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে একটু ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষা না নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন শিক্ষা বোর্ডগুলোর জন্য একেবারেই নতুন। ফলে কীভাবে মূল্যায়ন করা হলে ফলাফল দেশে ও বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং শিক্ষার্থীদের পরবর্তী জীবনে এর বিরুপ প্রভাব পড়বে কি না সে বিষয়গুলোও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে দুটি পাবলিক পরীক্ষা অতিক্রম করে এসেছে। সেই দুটি পরীক্ষায় তাদের যে ফলাফল সেটাকে ভিত্তি ধরে এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুল্যায়ন সঠিকভাবে যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়। কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন।
এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মূল্যায়ন পদ্ধতি আন্তর্জাতিক মানের হবে বলে উল্লেখ করেন।
এম এ খায়ের
তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা
শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- Ministry of Education, Bangladesh অফিসিয়াল ফেসবুক পাতা থেকে সংগৃহিত ।