মহাকাশ কি? |
আমরা সবাই জানি মহাকাশে যাওয়ার জন্য রকেটের প্রয়োজন। আমাদের মনে কি কখনো প্রশ্ন এসেছে রকেট দিয়ে মহাকাশে যায় কিন্তু বিমান দিয়ে কেন যায় না। বা বিমান দিয়ে কি মহাকাশে যাওয়া সম্ভব কি না?
বিমান আকাশে চলাচলের জন্য ২ টি উপাদান প্রয়োজন, একটি হলো বাতাস যার উপর ভর দিয়ে মাটি থেকে বিমান উপরে উঠে এবং আকাশে ভেসে থাকে এবং অপরটি হল অক্সিজেন যার সাহায্যে ইন্জিন চালিত হয়। এই দুইটা প্রয়োজনীয় উপাদানই আমাদের বায়ুমন্ডলে মজুদ আছে। আমরা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যত উপরে যাব তত বাতাসের ঘনত্ব কমতে থাকবে যার ফলে বাতাসে অণুর পরিমাণ কমতে থাকব। আর বাতাসে অণুর পরিমাণ কমে যাওয়া মানে অক্সিজেনের পরিমান কমে যাওয়া আর যখন অক্সিজেনের পরিমান কমে যাবে তখন বিমানের ইন্জিন চলার জন্য জ্বালানি দহন করতে পারবে না।
আরেকটা বিষয় মহাকাশে যেতে হলে কারমান লাইন পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর মুক্তিবেগ অতিক্রম করতে হবে। পৃথিবীর মুক্তিবেগ ১১.২ কি:মি সেকেন্ড। যার জন্য প্রয়োজন অনেক জ্বালানি। কারমান লাইন হলো যা আমাদের পৃথিবীর বায়ুমন্ডল এবং মহাকাশকে পৃথক করে রেখেছে এক অদৃশ্য লাইন । যা আমাদের ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে অবস্থিত। সাধারণ বিমানগুলি ৪৫০০০ ফুট উপর দিয়ে চলাফেরা করে। তবে কিছু বিশেষ বিমান এর থেকেও বেশি উপর দিয়ে চলাচল করে। ১৯৬৩ সালে আমেরিকান পাইলট জোসেফ আলবার্ট ওয়াকার ৩ বার আকাশপথে যাত্রা করেন। যার মাঝে ২ বার এক্স ১৫-ফ্লা্ইট ৯০ ও ১বার ফ্লাইট ৯১ এর মাধ্যমে কারমান লাইনের কাছাকাছি পৌছান। ১৯জুলাই ফ্লাইট ৯০ নিয়ে ১০৬ কি:মি ও ২২ আগষ্ট ১৯৬৩ সালে ফ্লাইট ৯১ নিয়ে ১০৮ কি:মি পৌছে কারমান লাইন পাড়ি দেন। আর এই কারনে তিনি পাইলট হয়েও এষ্টোনট এর খেতাব পান। তবে এক্স ১৫ ছিল নাসা এবং ইউএস এয়ার ফোর্স মিলে বিশেষভাবে বানানো প্লেন যেখানে ব্যাবহার করা হয়েছিল রকেটের ইন্জিন। এবং এটাকে ৪৫০০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বোমারু বিমান বি ৫২ বহন করে ছেড়ে আসে। তাহলে মনে প্রশ্ন আসতে পারে রকেট যায় কিভাবে? উত্তর হলো রকেটে আলাদা অক্সিজেন ট্যাংক থাকে।
- আহসান হাবিব