ইউনিভার্সিটি এডমিশন |
এডমিশন প্রিপারেশন কিসের জন্য নিব? টোটাল্লি কনফিউজড? আচ্ছা এখন তোমার কনফিউশান টা দূর করি। এরপর তুমি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে ইন শা আল্লাহ।
১. ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন দেখছ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশন নিবে। হঠাৎ কি হয়ে গেলো? আচ্ছা আমার প্রশ্ন তোমার কাছে তুমি কি একাডেমিক ম্যাথ ফিজিক্স ভালো পারতে? মানে বইয়ের ম্যাথগুলো সলভ করতে পারতে? তুমি এই প্রশ্ন টা নিজেকে কর। যদি হ্যাঁ উত্তর পাও তাহলে চোখ বন্ধ করে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশন নাও। আমি বিশ্বাস করি ম্যাথে তুখোড় হওয়ার প্রয়োজন নেই ব্যাসিক টা বুঝলেই তাকে ইঞ্জিনিয়ারিং চান্স পাওয়ানো সম্ভব।
এখন বলবা ভাইয়া রেজাল্ট?
আচ্ছা ভার্সিটি কি সার্কুলার দিছে? দেয় নি ত? তবে প্রিপারেশন নিতে কি সমস্যা?
তুমি ইইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশন নিলে ঢাবি সাস্ট সহ সকল বিজ্ঞান প্রযুক্তি, রাবি ও জাবি (IIT) এগুলো পথ সুগম হবে। হ্যাঁ সুগম ই হবে। তবে একটু টেকনিক খাটাতে হবে আমি সেভাবেই প্রিপারেশন নিতে সহায়তা করি।
আমি নিজেও জাস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশন নিছি ঢাবি সাস্ট রাবি এগুলোতে দিছিলাম ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাতীত আলহামদুলিল্লাহ ভালো পজিশন ছিলো।এর জন্য সম্পুর্নভাবে দায়ী ছিলো আমার টেকনিক্যাল পড়াশোনা। আমি রিটেন গুলোকে ই MCQ ভেবে সলভ করতাম। আর খুব কম সময়ে সলভ টা খুজে বের করতাম। তাই কোথাও আটকাই নি।
আমি মনে করি ইইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশন নিয়ে ভার্সিটিতে চান্স না পাওয়া ব্যাক্তিগুলো জাস্ট প্রিপারেশন ই নেয় পড়াশোনার নামে ঠনঠন টোটাল্লি করে না। আর এসে বলে প্রিপারেশন নাই প্রিপারেশন নাই তাই হয় নাই।
২. যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিপারেশন নিবে তারা চোখ বন্ধ করে প্রিপারেশন নেওয়া শুরু কর। ঢাবি জাবি সাস্ট কেন্দ্র কর আর ধুমাইয়া পড়, চান্স নিশ্চিত হবে। ভার্সিটি প্রিপারেশন মাত্র ৪/৫ ঘন্টা পড়লেই শেষ৷ প্যারা কম টেকনিক্যাল পড়াশোনা রিল্যাক্স.....
৩. যারা মেডিকেল প্রিপারেশন নিবে তোমাদের ৪০০০ সিট। সংখ্যাটা কম আর যদি কেউ মেডিকেল এ স্লিপ কেটে যায় তথা চান্স মিস হয়ে যায় তার জন্য অন্যান্য জায়গা যেমন কৃষি,জাবি ডি তে ও চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ মেডিকেল এর পাশাপাশি একটু কষ্ট হলে ভার্সিটি প্রিপারেশন টা নিয়া নেওয়া। তাতে তোমার একটা স্বস্থির নিশ্বাঃস ছাড়তে পারবে।
মেইন টার্গেট থাকবে মেডিকেল কিন্তু ভার্সিটির জন্য ক্লাসগুলো করে রাখা একটু একটু করে কনসেপ্টগুলো রেখে দিয়ে দিনে ৩/৩.৫ ঘন্টা সময় দিলে ই ঢাবি সহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুব ভালো একটা প্রিপারেশন হয়ে যাবে।
যার যে পয়েন্ট ই আসুক না কেন এইভাবেই ই প্রিপারেশন নাও,তাহলে আর বার বার নক দিয়া রেজাল্ট এত কিসের প্রিপারেশন নিব কি করব এতোকিছু ভাবা লাগবে না।
তুমি সব ক্ষেত্রেই পার্ফেক্ট, সব ক্ষেত্রেই বিচলনক্ষম থাকো,রেজাল্ট এর পর যেন একটার পর একটা স্টাটাস দিতে পারো। একটা স্টাটাসে ই সীমাবদ্ধ থাকা না লাগে।...
এখন আর প্রশ্ন নাই ত?
- শাহাবুদ্দিন
রুয়েট