Primer মুভি পোস্টার
চারজন স্বপ্নদর্শী প্রকৌশলী বন্ধুর বন্ধুত্বে ফাটল ধরে যখন তারা বুঝতে পারে যে তাদের আবিষ্কৃত বস্তুটি দ্বারা অনেক আশাতীত কাজ করে নেয়া হচ্ছে যা তারা নিজেদের মধ্যে কখনো কল্পনাও করেনি
খুঁটিনাটি
পরিচালক - শেইন ক্যারাথ
প্রযোজক - শেইন ক্যারাথ
গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ - শেইন ক্যারাথ
ধরণ - সাইন্স ফিকশন
অভিনয়ে - শেইন ক্যারাথ, ড্যাভিড সুলিভান, ক্যাসি গুডেন, আনান্দ উপাধ্যায়
মিউজিক - শেইন ক্যারাথ
সম্পাদনা - শেইন ক্যারাথ
প্রোডাকশন কোম্পানি - স্টুডিও ক্যানেল
পরিবেশনায় - থিংক ফিল্ম, আইএফসি ফিল্মস
মুক্তি - ৮ অক্টোবর, ২০০৪
রানিং টাইম - ৭৭ মিনিট
দেশ - যুক্তরাষ্ট্র
ভাষা - ইংরেজি
বাজেট - $৭০০০
বক্স অফিস - $৮,৪১,৯২৬
Primer মুভির অফিসিয়াল পোস্টার |
ভাল দিক
অভূতপূর্ব চিত্রনাট্য, ইউনিক কন্সেপ্ট। টাইম ট্রাভেল নিয়ে এযাবতকালে অনেক মুভি তৈরি হয়েছে কিন্তু এই মুভিতে যেন টাইম মেশিন/ট্রাভেল বিষয়টিকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে দেখানো হয়েছে। এটি বলতেই হয় যে মুভিটি এর মুক্তির সময়কাল থেকে গল্প অনুযায়ী অনেক এগিয়ে ছিল ।
খারাপ দিক
অনেক জটিল ও দুর্বোধ্য চিত্রনাট্য। অনেকের মতে এটি দুর্বোধ্যতার দিক থেকে হালের Mr. Nobody এবং Tenet থেকেও কঠিন। পরিচালক এ বিষয়ে বলেছেন যে তিনি ইচ্ছে করেই চিত্রনাট্য সহজ করেননি কারণ তিনি চেয়েছিলেন দর্শকরা নিজেরা নিজেদের মধ্যেই মুভিটির বৈজ্ঞানিক থিওরিগুলো বুঝুক এবং গবেষণা করুক। তাছাড়া মুভিটি অত্যন্ত লো বাজেটের ।
Primer সিনেমা দৃশ্য |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
চার বন্ধু এরন, এভ, রবার্ট এবং ফিলিপ মিলে একটি এরর চেকিং ডিভাইস আবিষ্কার করে। সবকিছুই ঠিকভাবে চলছিল যতদিননা তাদের মধ্যে দুজন (এরন ও এভ) বুঝতে পারে যে তারা যে মেশিনটি আবিষ্কার করেছে তা আসলে কোনো সাধারণ ডিভাইস নয়।
বস্তুত তারা এক অপ্রত্যাশিত টাইম মেশিন আবিষ্কার করে ফেলেছিল যার সাহায্যে সময়ের ভবিষ্যতে গিয়ে অনেক অজানা কিছু করে ফেলা যায়। তাদের দুই জনের মধ্যে একজন অপরজনকে না জানিয়েই পরিকল্পনা করে যে সে প্রথমত এই মেশিন কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের স্টক মার্কেটের ক্রমোন্নতির উপর নজর রাখবে যাতে করে সে সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে।
Primer সিনেমায় দেখানো কাল্পনিক সাইন্স ফিকশন যন্ত্র |
এই টাইম ট্রাভেল করার সময় যেকোনো ধরণের ভুল যেমন একাধিক অপ্রত্যাশিত টাইমলাইন তৈরি হয়ে যাওয়া, একই সময়ে একই ব্যক্তির দুই অস্তিত্বের মুখোমুখি হয়ে যাওয়া এসব সমস্যাগুলো শুধরানোর জন্য সে আরেকটি মেশিন (ফেইলসেইফ বক্স) আবিষ্কার করে যেটিও সে আগের মত অন্য বন্ধুদের না জানিয়েই করে। এখন অন্যসব বন্ধুরা কি এই মেশিনটির অবিশ্বাস্য কার্যক্ষমতা সম্বন্ধে জানতে পারবে?
মেশিনটির সকল কার্যপ্রণালী সম্বন্ধে কি তারা অবগত নাকি এটির আরও অজানা অবিশ্বাস্য কার্যপ্রক্রিয়া রয়েছে যা তাদের ব্যক্তিগত জীবন ও বন্ধুত্বের সম্পর্ককেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে? শেষ পর্যন্ত কি হবে? জানতে হলে উপভোগ করতে পারেন দারুণ এই মুভিটি ।
লিখেছেন - আতিক আলম